বালি-Sand

বালিঃ বালি একটি গুরুত্বপূর্ণ নির্মাণ সামগ্রী এবং এটি পূরক পদার্থ হিসাবে ব্যবহৃত হয়। বালি সিলিকার বিশেষরুপ।

উৎস ও আকার অনুযায়ী বালির শ্রেণিরবিন্যাস।

উৎসঃ
ক) গর্তের বালি
খ) নদীর বালি
গ) সমুদ্রের বালি

আকার অনুসারেঃ
ক) মিহি বা চিকন দানার বালি
খ) মধ্যম দানার বালি
গ) মোটা বা স্থুল দানার বালি

বালির আয়তন স্ফিতিঃ পানির পরিমাণ হ্রাস বৃদ্ধিতে বালির আয়তনের বিশেষ পরিবর্তন পরিলক্ষিত হয়। বালিতে উহার ওজনের ৪-৫% পানি থাকলে উহার আয়তন ২০-২৫% বৃদ্ধি পায়। শুষ্ক বালিতে পানি দিলে উহার আয়তন বৃদ্ধি পায় একেই বালিত আয়তন স্ফিতি বা Bulking of Sand  বলে।

ASTM Code অনুযায়ী বালির আকারঃ
চালুনী নং ১৮ দিয়ে অতিক্রান্ত এবং চালুনী নং ২৫ এ ধারণকৃত বালিকে প্রমাণ বালি বলে।
10mm অপেক্ষা কম ব্যাসের এগ্রিগেটকে ফাইন এগ্রিগেট এবং 10mm অপেক্ষা বেশি ব্যাস এর এগ্রিগেটকে কোর্স এগ্রিগেট বলে।

বালির সূক্ষ্মতা গুণাংকঃ যে গুণাংক বালির আকার সম্পর্কে ধারণা প্রদান করে তাকে বালির সূক্ষ্মতা গুণাংক বলে। আমেরিকান প্রমাণ চালুনি(ASTM) এর #4, #8, #16,, #30, #50, #100 নং এ বালিকে চালার পর অবশিষ্ট অংশের শতকরা হারের কিউমুলেটিভ বা পুঞ্জীভূত যোগফলকে 100 দ্বারা ভাগ করলে যে ফলাফল পাওয়া যায় তাকে বালির সূক্ষ্মতা গুণাংক বা Fineness Modules বলে।

Sieve Analysis and FM of Sand:

 Sievewt of
retained(gm)
% of Retained Cumulative
total 
FM 
 #4 50 4 
 #8 130 10.4 14.4 
 #16 14511.6  26 
 #30325 26  52268.56/100=2.69 
 #50405 32.4  84.4 
 #10042 3.36  87.76 
#200 23  Total=268.56  
 Pan130    
Total 1250    
FM=2.69

বালির মাঠ পর্যায়ে পরীক্ষাঃ

১. কিছু পরিমান বালি যদি হাতে নিয়ে বালি কণার আকার-আকৃতি ধারালো ও কোণাকার দেখা যায় তাহলে ঐ বালি উত্তম।

২. সামান্য পরিমান বালি জিহবায় লাগিয়ে স্বাদ নিলে লবণের উপস্থিতি বুঝা যাবে। 

৩. দু আঙ্গুলের মাঝে/হাতের তালুতে বালি নিয়ে আঙ্গুল দিয়ে ঘষা দিলে জৈব ও কাদার উপস্থিতি বুঝা যাবে।

৪. এক গ্লাস পানিতে সামান্য বালি নিয়ে কাঠি/অন্য কিছু দিয়ে নাড়া দিয়ে থিতানোর জন্য কিছু সময় রেখে দিলে। থিতিয়ে গেলে পানির নিচে থিতিয়ে পড়া বালি, পলি ও কাদার পরিমাণ চিহ্নিত করা যাবে। 



No comments:

Post a Comment